শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ অপরাহ্ন
রিয়াদ হোসেন, সাতক্ষীরাঃ ঋতু বৈচিত্র্যের ধারায় বিদায় নিয়েছে আশ্বিন। কিন্তু এখনও প্রকৃতিতে শীতের প্রভাব লক্ষ করা যায়নি তেমন ভাবে। উল্টো আকাশজুড়ে দেখা গেছে সাদা-কালো মেঘের ভেলা। মাঝে মধ্যে সামান্য থেকে ভারী বৃষ্টি পর্যন্ত হয়েছে এ আশ্বিনেই। এরই মধ্যে প্রকৃতির নিয়ম মেনে যথারীতি হাজির হয়েছে কার্তিক। তবে প্রকৃতির রীতি অনুযায়ী শীত যে দরজায় কড়া নাড়ছে-এটা অন্তত বিগত বছরগুলো থেকে অনুমেয়। আর শীত ঘিরেই কর্মব্যস্ত কৃষকরা। শীতের আগমনী বার্তায় শীতকালীন সবজি চাষে মাঠে ব্যস্ত কৃষকরা। সবুজে সবুজে শীতের সবজিতে ভরে উঠেছে ক্ষেতের পর ক্ষেত। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মূলা, করলা, পটল, পালং, লাল শাকসহ শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজি। সাতক্ষীরা জেলার সবজিখ্যাত কয়েকটি উপজেলা ঘুরে শীতকালীন সবজি চাষ নিয়ে কৃষকদের কর্মযজ্ঞের এমন চিত্র ওঠে আসে। প্রত্যহ ভোরে দেখা যাচ্ছে কোদাল, লাঙল নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন কৃষকরা। রোদের তীব্রতা বাড়তেই মাথায় বেত দিয়ে তৈরী টুপি পড়ে নিচ্ছেন। এরপর ক্ষেতে হাঁটু গেড়ে গাছের গোঁড়ায় চালাচ্ছেন পাচুন। দাঁড়িয়ে মাটিতে কোদাল মারছেন অনেকেই। আবার অনেকেই খালি হাতেই গাছের গোঁড়া ঠিক করছেন। মাটি আলগা করে নেড়েচেড়ে দিচ্ছেন। হেলে পড়া কোনো গাছ চোখে পড়লে ঠিক করে দিচ্ছেন। প্রয়োজনে গাছের গোঁড়ায় খুঁটি পুতে বেঁধে দিচ্ছেন। এভাবে শীতকালীন রকমারি সবজি নিয়ে কৃষকরা দিনের সিংহভাগ সময় ক্ষেতেই পার করছেন। কৃষক মোহাম্মদ আলী,রুহুল আমিন,কুদ্দুস মালী ভিশন বাংলাকে জানান, আগামজাতের সবজির ভালো দাম পাওয়া যায়। এতে সংসার খরচ চালাতে তেমন একটা বেগ পেতে হয় না। বাজারে বিক্রির পাশাপাশি পরিবারের চাহিদা মেটানো যায়। তালা উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন,তালা সদর,মাগুরা,জালালপুর ও খেশরা ইউনিয়নে ব্যাপক সংখ্যক জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেছেন কৃষকরা। তবে উপজেলার অন্য ইউনিয়নগুলোতেও কমবেশি সবজি চাষ হয়ে থাকে। তিনি আরো জানান, বছরের বারো মাসই সবজি চাষ করা যায়। উৎপাদন ব্যয় কম হওয়ায় কৃষকরা সবজি চাষে অত্যন্ত আন্তরিক।তাছাড়া উপজেলার সকল ইউনিয়ন ভিত্তিক কৃষি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে যাতে সবজি সহ অনন্য ফসল চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয় এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অগ্রনী ভুমিকা রাখতে পারে।